মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা লটারি (ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রাম) প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আসছে। এ বছর থেকে আবেদনকারীদের অবশ্যই বৈধ ও হালনাগাদ পাসপোর্টের তথ্য, পাসপোর্টের বায়োগ্রাফিক পৃষ্ঠার স্ক্যান কপি এবং ইলেকট্রনিক আবেদন ফর্মে স্বাক্ষর জমা দিতে হবে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ভুয়া আবেদন—যার অনেকগুলো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে—বন্ধ করার জন্যই এই নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। এ প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশ করা হয়েছে।
ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রাম বা ভিসা লটারি এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে কম অভিবাসন হারসম্পন্ন দেশের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। প্রতি বছর ৫৫,০০০ জনকে এই ভিসা দেওয়া হয়। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত দুই বছর আগে শুরু হয়—যেমন, ২০২৪ সালে শুরু হওয়া ডিভি-২০২৬ লটারির ফল ২০২৫ সালের শুরুতে প্রকাশ হয়েছে। তবে লটারিতে নির্বাচিত হওয়া মানেই ভিসা পাওয়া নয়; নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবশ্যই নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে হবে এবং সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রতি বছর যোগ্য ও অযোগ্য দেশের তালিকা নতুন করে প্রকাশ করা হয়। যে দেশগুলোর গত পাঁচ বছরে ৫০,০০০-এর বেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেছে, তারা ওই বছরের লটারিতে অংশ নিতে পারে না। ২০২৬ সালের ভিসা লটারির জন্য অযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—
তালিকায় নেই এমন দেশের নাগরিকরা স্বাভাবিকভাবে আবেদন করতে পারবেন। তবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্পষ্ট করেছে, ম্যাকাওর বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল (SAR) এবং তাইওয়ানের নাগরিকরা যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
সরকারের ভাষায়, এই নতুন পাসপোর্ট স্ক্যানিং ও তথ্য জমাদান প্রক্রিয়া ভিসা লটারিকে “আরও স্বচ্ছ, নিরাপদ এবং ভুয়া আবেদনমুক্ত” করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে এটি আবেদনকারীদের জন্য একটি অতিরিক্ত কিন্তু প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা স্তর হবে।
সম্পাদক- এ কে এম জুনাইদ
Copyright © 2025 Tourism News 24. All rights reserved.