ধর্মীয় পর্যটন

হজ ও ওমরাহ মেলায় বিশেষ ছাড়-তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা চলছে।

অনলাইন ডেস্ক-

২০২৬ সালের হজ পালনে আগ্রহীদের নিবন্ধনে ভোগান্তি ও দালালদের হয়রানি কমাতে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা চলছে। মেলা উপলক্ষ্যে বিশেষ ছাড় ও নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার মেলায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। আগ্রহী হজ ও ওমরাযাত্রীরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করে অগ্রিম বুকিং দিতেও দেখা গেছে। ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে মেলা। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) উদ্যোগে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এ মেলা চলবে  শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার মেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলাস্থল খোলা থাকছে। কোনো প্রবেশে ফি নেই, সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মেলা। এতে দেড় শতাধিকের বেশি এজেন্সি বিভিন্ন অফার নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছে।

মো. ইউসুফ নামে এক মুসল্লি শুক্রবার স্বপরিবারে মেলায় আসেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, বড় হজ করার আগে পরিবার-পরিজন নিয়ে ওমরা করার ইচ্ছে রয়েছে। তাই এজেন্সিগুলোর কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তা দেখতে এসেছি। কোনো অফার পছন্দ হলে বুকিং দিয়ে যাব।

মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও ওমরাহয় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এই মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার থেকে যাতে হজ ব্যবস্থাপনাকে মুক্ত রাখা যায়, সেজন্য আমরা সচেষ্ট। তাদের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেলা আয়োজন নিয়ে হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলার মূল কারণ হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তারা গ্রামগঞ্জ থেকে সহজ-সরল মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হজযাত্রী ও টাকা সংগ্রহ করে থাকে। এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতারিত হয়ে থাকেন। বারবার প্রচারণা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। এ মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে হজযাত্রীদের সঙ্গে সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির যোগসূত্র তৈরি করা। হজে আগ্রহীরা এজেন্সি থেকে পছন্দের প্যাকেজ নিয়ে ২০২৬ সালের হজে প্রতারণা ও হয়রানি মুক্তভাবে হজ পালন করতে পারেন।

হাবের মহাসচিব বলেন, ফেয়ারে আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন হজ এজেন্সির প্যাকেজ ও প্রদত্ত সুবিধাদি যাচাই, মধ্যস্বত্বভোগীর প্রভাব ছাড়াই সরাসরি বুকিং বা চুক্তি করতে পারবেন। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা সম্পর্কেও হজ গমনেচ্ছুরা তথ্য পাবেন। সেই সঙ্গে প্যাকেজে মিলবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button