ভ্রমণ গল্প

সাজেক ভ্যালি: পাহাড়-নীল আকাশ-সবুজের অপূর্ব মিলনমেলা

এ কে এম জুনাইদ

বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালি। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত এ পাহাড়ি জনপদ এখন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রথম পছন্দের তালিকায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় “বাংলার দার্জিলিং”

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

সাজেক ভ্যালির মূল আকর্ষণ এর পাহাড়চূড়া, মেঘের খেলা আর সবুজ বনভূমি। এখানে ভোরে সূর্যোদয়, দুপুরে পাহাড়ি ঝর্ণা, বিকেলে মেঘের ভেলা আর রাতে ঝলমলে তারা – পর্যটকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। অনেকে সাজেককে “মেঘের রাজ্য” বলেও ডাকেন।

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি বা রাঙামাটি হয়ে সাজেক যাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয় জিপ/চাঁদের গাড়িতে করেই পর্যটকরা সাজেক পৌঁছান। পথে দৃশ্যমান পাহাড়ি গ্রাম, ঝর্ণা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়।

কোথায় থাকবেন

সাজেক ভ্যালিতে বিভিন্ন রিসোর্ট, কটেজ ও গেস্টহাউস রয়েছে। রুনময় রিসোর্ট, মেঘপুঞ্জি, কংলাক পাহাড়ের কাছের কটেজগুলো বিশেষ জনপ্রিয়। এছাড়া স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঘরেও থাকার সুযোগ রয়েছে, যা ভ্রমণকারীদের আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়।

স্থানীয় সংস্কৃতি ও খাবার

সাজেকে চাকমা, মারমা, লুসাইসহ বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন ও আতিথেয়তা ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। পাহাড়ি মুরগি, বাঁশে রান্না করা ভর্তা, ঝিনুক ভাজি ইত্যাদি খাবার পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

ভ্রমণ পরামর্শ

  • ভ্রমণে গেলে স্থানীয় সংস্কৃতি ও নিয়মকানুনকে সম্মান করতে হবে।

  • আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তন হয়, তাই রেইনকোট ও গরম কাপড় সঙ্গে রাখা ভালো।

  • রাতে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া উত্তম।

প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য সাজেক ভ্যালি হতে পারে এক অনন্য গন্তব্য। পাহাড়, মেঘ আর সবুজের মেলবন্ধনে সাজেক আজ বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button