আন্তর্জাতিকমানব সম্পদ

রাশিয়া পাঁচ বছরে ৩১ লাখ দক্ষ ভারতীয় কর্মী নেবে

অনলাইন ডেস্ক

আগামী পাঁচ বছরে ভারত থেকে ৩১ লাখ দক্ষ কর্মী নেবে রাশিয়া। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে যে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে, তা মেটাতেই বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের ওপর নির্ভর করতে চাইছে মস্কো।

রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত থেকে ৩১ লাখ দক্ষ কর্মী নিতে চায় দেশটি। নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় চলতি বছরই ১০ লাখ কর্মীকে রাশিয়ায় পাঠাবে ভারত। মূলত নির্মাণ ও বস্ত্রশিল্প খাতে নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের। এছাড়া কর্মীদের মধ্যে যারা উচ্চশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত— তাদেরকে বিভিন্ন সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদেও নিয়োগ দেওয়া হবে।

রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার রুশ বার্তাসংস্থা তাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিনয় কুমার বলেছেন, “বৃহত্তর স্তরে রাশিয়ায় কর্মীর চাহিদা রয়েছে। উল্টো দিকে ভারতে দক্ষ কর্মীর অভাব নেই। নিয়মকানুন, আইন এবং সংরক্ষিত কাঠামোকে মেনে রাশিয়া ভারতীয়দের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।”

বিপুল সংখ্যক এই কর্মীদের পরিষেবা দিতে নতুন একটি দূতাবাসও খুলবে রাশিয়া ও ভারত। বিনয় কুমার জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত এই নতুন দূতাবাসটি শুধুমাত্র ভারতীয় কর্মীদের পাসপোর্ট-ভিসা-জন্মনিবন্ধনসহ আনুষাঙ্গিক অন্যান্য পরিষেবা প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হবে।

তবে সাম্প্রতিক এই চুক্তির কয়েক বছর আগে থেকেই রাশিয়ায় ভারতীয় কর্মীদের আগমনে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দিল্লিভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী, যেখানে ২০২১ সালে ৫ হাজার ৪৮০ জন ভারতীয় ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছিলেন; সেখানে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৩৬ হাজার ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ৫ বছরে রাশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিটপ্রাপ্ত ভারতীয় কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ গুণ।

এই তথ্য রাশিয়ার অর্থনীতিতে ভারতীয় জনশক্তির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। বিশেষ করে এমন একটি পরিস্থিতিতে, যখন পুতিনের দেশ কর্মীঘাটতির সঙ্গে লড়াই করছে।

প্রসঙ্গত, গত সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া কর্মক্ষম জনসংখ্যা কমে গেছে। সরকারি সমীক্ষা অনুসারে যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি রুশ সেনা। এই সেনাদের একটি বড় অংশ ছিলেন অনিয়মিত, অর্থাৎ তারা সাধারণ নাগরিক ছিলেন। রাষ্ট্রের আহ্বানে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তারা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডইকোনমিক টাইমস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button